কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে স্যার ডাকতে চায় না বলে হারিয়ে দিয়েছে : হিরো আলম
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/02/02/hero.jpg)
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও ৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, সংসদ সদস্য হলে তাঁকে স্যার ডাকতে হবে বলে ইভিএম কারসাজিতে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় হিরো আলম তাঁর বগুড়া সদরের এরুলিয়া নিজবাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘সংসদ সদস্য হলে আমাকে স্যার ডাকতে হবে। এজন্য কিছু শিক্ষিত মানুষ আমাকে আগে থেকেই মানতে পারছিলেন না। আমাকে স্যার বলতে কষ্ট হবে, এমন লোকেরাই ফলাফল পাল্টে আমাকে পরাজিত করেছেন। তাঁরা আমাকে ইভিএম কারসাজিতে হারিয়ে দিয়েছেন।’
আলশ বলেন, ‘আমি এমপি হলে নাকি বাংলাদেশের সম্মানহানি হবে। এমন ভাবনা থেকে আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। মশাল মার্কার অস্থিত্ব ছিল না। আমি কাহালু-নন্দীগ্রাম আসন থেকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জোগসাজসে গণনায় আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এই ফলাফল মানি না।’
নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম আরও বলেন, ‘সারাদিন মাঠে ভোটারের উপস্থিতি তেমন ছিল না। হঠাৎ এতো ভোট কোথা থেকে এলো, বুঝতে পারছি না। মশাল মার্কার অস্থিত্ব ছিল না। তাদের নির্বাচনী প্রচার ছিল না। মানুষের তাদের আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপর কীভাবে আমার চেয়ে বেশি ভোট পেল, বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
বগুড়া সদর আসন সম্পর্কে আলমের অভিযোগ, সেখানে অনেক কেন্দ্রে তাঁর এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ফলে সকালেই ওই আসনের ভরসা ছেড়ে দেন তিনি।
ফলাফল নিয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নে জবাবে আলম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখন কোনো কথা বলব না। পারে জানানো হবে।’
হিরো আলম তাঁর ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা আমাকে নির্বাচনে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি ভোটে হারলেও সারা জীবন মানুষের পাশে ছিলাম, শেষ পর্যন্ত থাকব।’