সৎভাই প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি রাখার আদেশ জর্ডানের বাদশাহর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/05/21/jordan.jpg)
অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া প্রিন্স হামজা বিন হুসেইনকে গৃহবন্দি রাখার আদেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বিন হুসেইন। সম্পর্কে তিনি প্রিন্স হামজার সৎভাই হন।
এক বিবৃতিতে এ আদেশ দেন জর্ডানের বাদশাহ। বিবৃতিতে আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রিন্স হামজার বিষয়ে একটি ডিক্রি জারি হয়েছে। এ ডিক্রি অনুযায়ী, এখন থেকে তাঁকে সবসময় ঘরে অবস্থান করতে হবে। বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ এবং কোথাও যাতায়াত করতে পারবেন না তিনি।’
‘রাজপরিবারবিষয়ক আইন অনুযায়ী গঠিত পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই জারি করা হয়েছে এ ডিক্রি,’ বিবৃতিতে বলেন বাদশাহ।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমি কাউকে নিজেদের স্বার্থকে জাতির স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে দেব না, এমনকি আমার ভাইকেও আমাদের গর্বিত জাতির শান্তি বিঘ্নিত করতে দেব না।’
দেশটির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জর্ডানের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন প্রিন্স হামজা। অভুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল বাদশাহ আবদুল্লাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
তবে, সে পরিকল্পনা সফল হয়নি; বরং ‘ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত থাকার অভিযোগে দুজন সরকারি কর্মকর্তাকে গত বছর গ্রেপ্তার এবং ১৫ বছর করে কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত দুই সরকারি কর্মকর্তা হলেন জর্ডানের রাজকীয় আদালতের সাবেক প্রধান বিচারপতি বাসেম আওয়াদুল্লাহ ও সৌদি আরবে জর্ডানের সাবেক রাষ্ট্রদূত শরিফ হাসান বিন জাইদ। রাজকীয় আদালতে বিচার চলাকালে অপরাধ স্বীকার করায় দুজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
তবে, প্রিন্স হামজাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। তাঁর প্রতি বড় ধরনের শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি এত দিন।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2022/05/21/jordan-capture.jpg)
তবে, গত মাসে জর্ডানের রাজকীয় আদালত একটি বিবৃতি দেন। সে বিবৃতিতে বলা হয়, বাদশাহকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন হামজা।